​একটা মানব দেহ যখন পৃথিবীতে ভুমিষ্ট হয়ে যায়, তখন সেটা নিষ্পাপ আর নিস্পাপ মনুষ্যত্ব হিসেবেই সমাজের সাথে মিশতে থাকে। বাল্য কৈশোর আর যৌবন বৃদ্ধকাল এই চারটি সময়ে সব চেয়ে যে সময়টিতে তার মনুষ্যেতর রুপ পাল্টায় সেটি হলো প্রায় ৩ কালের মধ্যেই।
কৈশোরে যখন পদার্পণ করে তখন সে দেখতে পায় সমাজের আশে পাশের কাজ কর্ম আর অন্য মানুষের আহাজারি আর আর্তনাদ অ-বিচার আর স্বু-বিচার সমূহ, আর অভ্যাসে পরিনত হয়ে যায় তার যৌবের দিকে হেটে যাওয়ার। 
যৌবনে যখন পদার্পণ করে তখন তার গায়ের মাংস আর রক্তের গরমে নিজেই সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে অন্যায় অবিচার আর অসালিন কাজ কর্মে লিপ্ত হয়ে যায়, যেটা সে তার কৈশোরে আদি লোকদের কাছ থেকে শিখে এসেছে……তার মত এমন কাজ তার পরবর্তী প্রজন্মের কৈশোরেরা শিক্ষা গ্রহন করতেছে।
বৃদ্ধকাল চলে এলে মোটা মুটি সমাজ তাকে সম্মানের দিকেই দৃষ্টিগোচর করে থাকে,কেউ হয় গ্রামের মাতবর,আবার কেউ হয় কোন রাজনৈতিক নেতা। আবার কেউ হয় অনেক শিক্ষায় শিক্ষিত ভূষিত হয়ে একজন দামি মানুষ।
মানুষ কিন্তুু সবাই….সেটা আবার পাগল হোক,আবার সুস্থ মস্তিস্কের হোক কিন্তুু মানুষ আর মনুষ্যত্বের মাঝে রাত আর দিন পার্থক্য রয়েছে।
একজন সুস্থ মানুষ এই সমাজে কখনই সুস্থ মস্তিস্কের সন্ধান পাবে না, আর একজন পাগল মানুষও সুস্থ মস্তিস্কের সন্ধান পাবে না।
আদি সমাজের হাল-চাল ধরে যদি সমাজ আর মনুষ্যত্বকে পাল্টানোর কথা চিন্তা করা হয়_____তাহলে এটা কথা ভেবে বলতেবোকামির পথটা নিজের হাত দিয়েই নিলেন।
যাই হোক, একজন বৃদ্ধ যখন সমাজের নেতা হিসেবে বিরজমান থাকে তখন কিন্তুু আমরা তার কমান্ড অনুযায়ী সমাজের সাথে চলাচল করে থাকি।
কিন্তুু আমরা কখনই ভাবি না তার মনুষ্যালয় কোন পর্যায়ে গিয়েছে, আর দোষত্রুটি ধার চেষ্টাই করি না। কারন আমার আজ কৈশোরে অবস্থান একদিন যৌবন আসবে আবার আসবে বৃদ্ধকাল।
চক্রের খেলায় আমরা ঘূর্ণিজলের মত বার বার ঘুরে আসতেছি……সমাজ তাহাকে আজ মাথায় নিয়ে বেড়াচ্ছ……কারন সমাজকে সংস্কর কার মত কাউকে খুজে পাওয়া মানে আকাশের চাদ হাতে পাওয়া।
আবার দেখা যায়…..গোত্রের চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশিই, কেউ হিন্দু ধর্ম,কেউ মুসলমান আবার কেউ বৌদ্ধ খৃষ্টীয় ধর্মের অনুশারী।
হিন্দুরা মনে করে যে___ওরা খৃষ্টান তাই ওর হাত দিয়ে সমাজকে উন্নয়ন করা মোটেও সম্ভব না। আবার মুসলমানরা মনে করে ওরা হিন্দু ওদের হাত দিয়ে সমাজ সংস্কর করা সম্ভব না, এভাবেই কিন্তুু প্রায় সব ধর্মের মানুষেরা সমাজ গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে………আর এতেই হয়ে যায় মারামারি আর কাটাকাটি।
এই দন্ডগুলোয় নিন্তুু ধর্মের উপর আঘাত যকটুকু পড়ে, তার চেয়ে আঘাত বেশি হয় সমাজ আর মনুষ্যত্বের উপর।
আমরা চাই না কোন বৃদ্ধ,আর চাই না কোন ধর্মের বেড়াজাল। আমরা চাই আমাদের চারপাশের পরিবেশকে স্থিতিশীল করার জন্য ভাল মানুষের দ্বারা শাসিত সমাজ।
আর আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর ভাবে বাচিয়ে রাখতে চাই সুস্থ আর ভাল মনুষ্যত্বের শাসক………………. কিন্তুু আমরা কখনই তাহা পাবো না, যতক্ষণ না আমরা নিজেরাই নিজেকে না পাল্টিয়ে নেই।
আসুন আমরা আমাদের পরিবেশকে ভালো রাখার চেষ্টা করি, যাতে সমাজ চক্রে গনণা করে আমরা আগামীর সমাজ আর ভালো মনুষ্যত্বের দিকে অগ্রস্বর করিয়ে দেই………………
……………………আসুন নিজে আগে পাল্টিয়ে যাই।